ছেলেদের ভন্ড ভালোবাসার কারনে মেয়েদের অবস্থা


আগের একটি ভালোবাসার গল্পে আমি মেয়েদের স্বার্থপরতার দিক টি দেখিয়েছিলাম।
শুধু যে মেয়েরাই খারাপ হয় তা তো নয়।
কিছু কিছু ছেলেরাও খারাপ।
আজ আমি আপনাদের কে যে গল্পটি বলব, সে কথা একটি মেয়ের।
এটি একটি সত্য ঘটনা, সে আমাদের সাথে তার কথা শেয়ার করেছে আর আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আর বাড়তি কথা বলব না।
আমি তার মুখের কথা সরাসরি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি...
আমি শুধুমাত্র ১২ ক্লাস পর্যন্তই পড়েছি।
আর পড়া হয়নি কারন কিছু পারিবারিক সমস্যা ছিল।
আমি মুম্বায়ে থাকি।
আমাদের এখানে নভরাত্রি খুব সুন্দর ভাবে হয়।
একদিন ডান্ডি খেলছিলাম, তখন একটা ছেলেকে দেখলাম যে শুধু আমার দিকেই তাকিয়েছিল, আমিও তাকিয়েছিলাম।
আমার ওর সাথে ফ্রেন্ডসিফ করতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু আমি ওকে চিনি না, কোথায় বাড়ি জানতাম না, এমনকি নামও জানতাম না।
এভাবেই দেখতে দেখতে ও আমাকে হয়ত ইশারা করেছিল, আমি বুঝতে পারিনি।
পরের দিন আমি আর ওকে দেখতে পায়নি, খুজেছিলাম কিন্তু কোথাও পায়নি।
তখন আমার মন কেমন যেন খারাপ হয়ে গেছিল।
.
.
.
একদিন আমি আমার দিদি বাড়িতে এসে জিজুর সাথে বায়িকে করে ঘুরতে বেরিয়ে ওকে দেখতে পেয়েছিলাম।
আমি অবাক হয়েছিলাম, যে এ এখানে কি করছে!
তো আমি ওখানে আমার বান্ধবীদের সমস্ত কিছু বললাম।
ওদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওদের বাড়ি এখানেই, ওর মা একটি স্কুল টিচার।
তারপর ওর সম্পর্কে আমি আরও সমস্ত কিছু জানতে পারলাম এবং ফেসবুকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিতে দিলাম।
ও আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট কনফার্মও করে দিল।
৫ দিন পর আমাদের কথা হল, ও আমাকে ফোন করতে বলেছিল, আমি ফোন করলাম।
ও আমাকে ডাইরেক্টলি আই লাভ ইউ বলেদিল।
আমি না করে দিলাম।
ওর মন খারাপ হয়ে গেল।
পরের দিন আমরা দ্যাখা করলাম, সেখানেও ও আমাকে আই লাভ ইউ বলল।
আমি বললাম, আমি তোমাকে জানি না, চিনি না! তালে তোমাকে কিকরে আই লাভ ইউ বলেদেব?
মনে মনে তো আমি ওকে ভালোবাসি কিন্তু বলতে পারছিলাম না।
আমি ওর পিছনে পিছনে হাটছিলাম, ও আমার সামনে সামনে হাঁটছিল, তখন আমি ওকে ম্যাসেজ পাঠালাম আই লাভ ইউ টু।
ও পিছন ফিরে তাকিয়ে হাসল আর খুব খুশি হয়ে গেল।
এরপর আমাদের কথা হতে থাকল, আমরা দুজনে দুজনার কাছে এসে গেলাম।
কিন্তু আমরা বেশি দ্যাখা করিনি, কারন আমার বাড়ির লোক একটু কড়া টাইপের ছিল, তাই বেশি দ্যাখা করার সাহস পেতাম না।
দ্যাখা করতে না যাওয়ার কারনে ও আমার উপর খুশি হত না।
একদিন হটাত ও আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল, আমি ওকে অনেক বার ফোন করলাম ও আর রিসিভ করল না, আমি পগলের মত কান্না করতে থাকলাম।
৬ মাস হয়ে গেল আমি একটা চাকরিতে জয়েন করলাম, তারপর নভরাত্রি এল, আমি ওকে দেখতে পেলাম, ও আমাকে দেখতে পেল, আমি শুধু অকেই দেখতে থাকলাম একভাবে।
ও ওর একটা বোনের সাথে এসেছিল।
ওকে দ্যাখার পর আমার কান্না পেয়ে গেল, আমি ওকে ফোন করলাম, ও রিসিভ করল।
আবার আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল, এখন আমরা মাঝে মাঝে দ্যাখাও করি, কারন আমি এখন কাজে যাই তখন দ্যাখা করাও সম্ভব হয়।
একদিন ও কার নিয়ে এসেছিল, আমরা দ্যাখা করলাম।
ও বলেছিল সোনা তোমার জন্মদিন চলে আসছে, আমরা পার্টি করব, ও বলল , সমস্ত কিছু ও নিজেই আয়োজন করবে।
আমি ওকে বললাম এবং কান্না করে দিলাম, বললাম, আমাকে তুমি ছেড়ে যাবেনা।
ও আমার প্রতি সিরিয়াস হয়ে গেল।
এইরকম ভাবে আমাদের সম্পর্ক এক বছর পার করে গেল।
আমি অন্য একটা ভালো জব পেয়ে গেলাম। ও খুব খুশি হল।
ও নিজের পড়াশোনাই ব্যাস্ত থাকতো, ও সি.এ করছিল।
একদিন আমাদের একটু লেট হয়ে গেল, তারপর আমার একটা বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে আরও একটু দেরি হয়ে যায় বাড়ি পৌছতে।
তো বাবা আমাকে জব করতে বারন করে দিল।
এবার তো আমার সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল।
এই সব আমি ওকে বললাম, ও আমার উপরেই রাগ করল।
কথা বলতেই চাইছিল না।
অনেক ফোন করলেও ও আমার ফোন রিসিভ করত না।
আমি অনেক কান্না করলাম, ও আমাকে দু দুবার ধোঁকা দিল।
এখনো আমার প্রতিদিন কান্না পায়, খেতে বসলেও এখনো মাঝে মাঝে কান্না চলে আসে।
ব্যাস,
মেয়েটার কথা এবার শেষ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন