কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুভ নববর্ষ

শুভ নববর্ষ
সবাইকে  নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। 
আর একটা কথা, এর আগের লেখাটা না পড়ে থাকলে, পড়ে নিন, অনেক ভালো লেখাটা। 
Esho He Boishakh - Bhalobasa.com

বর্ষশেষের বিদায় মালা
   কেমন করে খুলি ?
বছর ভরা অনেক স্মৃতি
    কেমন করে ভুলি ?

যা পেয়েছি সারা বছর
   আঁকড়ে ধরেছি,
ভাল মন্দ সব কিছুকে
   হৃদয়ে ভরেছি।

বিশ্লেষনে দুঃখ বাড়ে
    উদাস থেকেছি,
অন্ধকারকে সরিয়ে দিয়ে
      স্বপ্ন গড়েছি।

সবার স্বপ্ন সজীব থাকুক
   নববর্ষের কোলে,
সবাই যেন সুখের আলোয়
    খুশীর হাওয়ায় দোলে।

হ্যাপি নিউ ইয়ার

আজ একটা কবিতা শেয়ার করবো,
ফালতু কবিতা, শুধুমাত্র মজা করার জন্য।
happy new year bengali funny poem - valobasa.in
মধ্য রাতে ওত পেতে রই
ফসকে গেলেই কেলো
ঠিক বারোটাই চিল চিৎকার
নতূন বছর এলো.....

দুমদুমিয়ে পটকা ফাটে
পর্দা কাঁপে কানে
নরম কোনো শব্দ তো নেই
খুশির অভিধানে.....

মেদ জমেছে মধ্যদেশে
নাচতে হবেই তবু
তাল কেটে তা বেতাল হলে
দোষ নিয়ো না প্রভু.....

কেক কেটেছি সবাই মিলে
মেখেছি সব মুখে
ও সব তো খায় হাভাতেরা
অথবা উজবুকে.....

আমরা বাবা সাহেবসুবো
রোদ্দুরেতে কালো
ইংরিজিতে ভুল ধরলে পরে
ধুসস বয়েই গেলো.....

 দুর্গাপূজাও হ্যাপ্পী এখন
এটাই যুগের কেতা
পয়লা বোশেখ নতূন বছর
নিছক আদিখ্যেতা.....

উৎসব তো ক্ষণিক থাকে
এনজয় মাই ডিয়ার
এসো সবাই তুমুল চেঁচাই
হ্যাপ্পী নিউ ইয়া..................র।

পাগলিটাও মা হয়েছে

আজ আপনাদের জন্য 
একটি অসাধারন কবিতা নিয়ে এসেছি।
Art of Pregnanat Women - Valobasa
পাগলিটাও মা হয়েছে
তবে বাবা হয়নি কেউ,
পাগলি বলে যায়নি ছেড়ে
প্রসব ব্যাথার ঢেউ.
পাগলিও যে নারি শরীর
বয়ে বেড়ায় তার,
ছেড়ে যায়নি মাসিক নামের
ব্যাথার অনাচার.
রাস্তায় ঘুরে কাটে দিন আর
রাস্তায় কাটে রাত,
পাগলি বলে স্বামি হয়নি
পায়নি সংসার স্বাদ.
কিভাবে সে মা হয় তবে
গর্ভে লয় সন্তান?
নাকি আবার জন্ম নিলো
যিশু ভগবান. .
পাগলি ও কি করেছিল
যৌন আহবান,
নাকি রাতের বেলা বেইশ্যা হয়ে
করল শরীর দান.
দশমাসেতে পাগলি ছিল
কত বেদনায়,
পেট বেড়েছে পোঁয়াতি সে
কিসের তাড়নায়.
ক্ষুধায় খেল আবর্জনা
কখনো না খেয়ে,
বাচ্চা পেটে ছোটাছুটি
কে দেখেছে চেয়ে,
বাচ্চা মারে পেটে লাতি
মানুষ মারে পিঠে,
হাতুড়িতে আঘাত হানে
ফাটল ধরা ইটে.
ব্যাথায় যেদিন কুকড়েছিল
কে দেখে বল কাকে,
হাউ মাউ করে কেঁদেও সে
পায়নি সাড়া ডাকে.
সেইতো বোঝে প্রসব ব্যাথা
যে হয়েছে মা,
পাগলিটাও মা হয়েছে
বাপটা কেউ না.
গাছ ফেটে যে গাছ বেরোলো
কে লুকেছে বীজ.
মেয়ে শরীর পেয়ে রাতে
কে ঢেলেছে বিষ,
জন্ম নিল যে শিশুটি
কাকে ডাকবে বাপ.
অবৈধ বলবে সবাই যারে
যে সমাজের পাপ.
পাগলি বলে দমকে বলি
এখান থেকে ফুট.
রাতের বেলা পাগলির শরীর
করে এলাম লুট,
দশটা মাসে কি খেয়েছে
রক্ত গেল কত.
কে দেখেছে দশটি মাসে
ব্যাথায় ছিল শত,
কে জানে তার শরীরটাকে
আরো কতবার.
চুষে খেয়ে চিবিয়েছে
কত জানোয়ার.
পুরুষ গেল শরীর খেয়ে
নিয়ে গেল স্বাদ,
কষ্ট পেয়ে মরলো শুধু
পাগলি মায়ের জাত.
ভিখারিনী বলে মায়ের জাতি জন্ম দিয়ে
নিজেই হল কাল,
পাগলিটাও মা হয়েছে
মা হয়েছে মাল,
রাতের বেলা নারির শরির
ভোগ্য পন্যময়,
নিজেকে আজ পুরুষ ভাবতে
বড়ই লজ্জা হয়.......।
লিখেছেনঃ - অনিরুদ্ধ সরকার

বেণীমাধব নতুন ভার্সান

"বেণীমাধব" জয় গোস্বামী রচিত একটি খুব সুন্দর এবং বিখ্যাত কবিতা সেটা আমরা সবাই জানি।
তবে আজ আমরা সেটার মজার ভার্সানটা শুনবো।
প্লিজ কেউ রাগ করবেন না। এটা শুধুমাত্র মজা করার জন্য।

বেণীমাধব বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাবো
তোমার বউয়ের সঙ্গে বসে বাদাম ভাজা খাবো।
প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম আমি তোমার ঘরে
সেই দিনটা বেণীমাধব এখনও মনে পড়ে।
ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো তোমার মিষ্টি বউ
ঘণ্টা বাজলো আমার বুকে শুনল না তো কেউ !
বেণীমাধব তোমার বউয়ের পিঠ ছাপানো চুল
আমার মনে কুটুস করে বিঁধিয়ে দিলো হুল !
তুমি যখন বেণীমাধব দাঁড়াও বউয়ের পাশে
বুক ফেটে যায় ঈর্ষাতে আর দু'চোখ জলে ভাসে।
জুড়ায় নাকো মোটেই, শুধুই পুড়ায় আমার চোখ
তোমার বউয়ের প্রেমে আমি চরিত্রহীন লোক।
কিসের এত ন্যায় অন্যায় কিসের এত আইন ?
তোমার বউই বেণীমাধব আমার ভ্যালেন্টাইন।
চুপি চুপি বেণীমাধব কয়েকটা দিন পরে
তোমার বউয়ের সঙ্গে দেখা করবো ব্রিজের ধারে।
জ্বলবে আগুন বেণীমাধব দুইজনারই বুকে
তোমার বউকে ফুঁসলে নিয়ে ভাগবো দূর মুলুকে।
বুঝবে তখন বেণীমাধব কি ভয়ানক জ্বালা
পেয়েছিল সেই মালতী স্কুলের নবম শ্রেণীর বালা!
অনিদ্রা আর বদহজমে শরীর যাবে ক্ষয়ে
বদলা নেবো বেণীমাধব সেলাই বোনের হয়ে!
বেণীমাধব - এর জবাব
নিবিই যদি ঠিক করেছিস এমন প্রতিশোধ
সংগোপনে সুদীর্ঘকাল লুকিয়ে রাখিস ক্রোধ।
যা করবার কর না বন্ধু একটু তাড়াতাড়ি
আমিও তবে মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারি।
মধুঝরা হাসি, বক্র চাহনি একঢাল কালো চুলে
তোমার মতই আমিও একদা গিয়েছি ভূবন ভুলে।
ঘোর কেটে গেলে হিসাব পেলাম কত ধানে কত চাল
সাধে কি আমার হয়েছে এমন পাগলের মতো হাল!
তোর কথা শুনে ফের মনে হল এখনও আছি রে বেঁচে
পুলকে আমার হৃদয়কমল কেমন উঠেছে নেচে।
বন্ধু তোমায় একটি বাক্য চুপিচুপি দিই কহে
একবার নিলে ও জিনিস আর ফেরৎযোগ্য নহে।

এবিপি আনন্দ

বাংলা নিউজ চ্যানেলগুলোর মধ্যে আমার সবথেকে ভালোলাগে এবিপি আনন্দ।
দেখলে আমি ওটাই দেখি।
কিন্তু আজ একটা কবিতা দেখলাম ফেসবুকে, বেশ মজার।
তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
কারোর মনে আঘাত দেওয়া বা কারোর ক্ষতি করার জন্য পোস্টটি নয়, শুধুমাত্র মজা করার জন্য।

এগিয়ে থাকে এগিয়ে রাখে, যৌনতায় শুধু সেরা।
মেককাপ করে দেখায় বক্ষ কিংবা চেহারা।।
জাপানি তেলের বিজ্ঞাপনে বাজার করেছে মাত।
সাতদিনে নাকি সুমন কাকা ভেঙেছে তিনবার খাট।।
আজগুবি খবর যত চলছে শিরোনামে।
সাপের বিন বাজছে শুধু আমাদের কানে।।
কখনও দেখি সানি লিওন সমুদ্রের পাড়ে দৌড়ায়।
মস্তি নিয়ে ছুটছে দেখি কালো ঘোড়ায়।।
কোথায় কে বিকিনি পরল, জেনে যায় এবিপি।
ওদের ক্যামেরায় পড়েনা ধরা মালদার কোনো ছবি।।
কখনও সবুজের গুনগান, কখনো লালের পাশে।
খাটভাঙার বিজ্ঞাপন দেখে বাচ্চা ছেলেও হাসে।।
ঘন্টাঘানেক সঙ্গে সুমন, শুধুই ভাট বকে।
জাপানি তেল লাগিয়ে সুমন চশমা পরে চোখে।।
খবরের কাগজের একি অবস্থা, নগ্ন ছবিতে ভরা।
কোথাও দেখি নগ্নতা, কোথাও ছোটে ঘোড়া।।
বান্ধবী খুঁজে পাওয়ার বিজ্ঞাপন, কোথাও বডি ম্যাসাজ।
কোথাও দেখি বেশ্যাবৃত্তি করার খালি আছে কাজ।।
ফেসবুক পেজেও এবিপি আনন্দ, ঠিক যেন চটির ব্লগ।
যৌনতা দেখিয়ে কামায় টাকা, মিডিয়ারূপী ঠগ।।
যৌনতার রসে ভরা মিডিয়া, সুমনের নাকে রহস্যের গন্ধ।
জাপানি রকেটের টাকাতে চলে, বাংলার এবিপি আনন্দ।।

মায়ের জন্মদিন

দুনিয়াতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একটাই আর সেটা হল মায়ের ভালোবাসা।
বাকি সম্পর্কগুলোর কথা এখন আর বলছি না।

মাগো মা তোমার নাকি জন্ম দিন
অবাক লাগে হাসি পায় মা অন্তহীন।
মা মানেতো শুধু-ই কাজ
কুটনো কোটা বাটনা বাটা একটু সাজ।
বাবার অফিস আমার স্কুল 
কোনকিছুতে হয়না ভুল।
গয়লা ধোপা কাজের লোক
সব কিছুতেই সজাগ চোখ।
সবার জন্য সময় দিলে 
জীবনে তুমি কি বা পেলে?
সন্ধেবেলা একটু খানি টিভি সিরিয়াল 
তাতেও তুমি হও যে নাকাল।
কেক কাটিয়েই তোমার মজা
হয়ে ওঠেনি নিজের জন্ম-তারিখ খোঁজা।
আচ্ছা মাগো কয়েকটা দিন সবুর করো
নিজের হাতে শক্ত করে ছুরি ধরো।
হোকনা তোমার দন্তহীন বা পক্ক কেশ
নিজের হাতে কেক কাটতে লাগবে বেশ।


এই গানটি গেয়ে দেখুন, মজা পাবেন


আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে কিনা জানিনা।
তবে আমাদের এখানে তো থামছেই না, এখনো হচ্ছে।
আমার ভালোই লাগছে, কারন বৃষ্টিতে কারেন্ট যায় না, আর এটা থাকলে আমার আর কিছু দরকার পড়েনা।
এই বৃষ্টির মধ্যে গান গাইতে তো ভালোই লাগবে, তাহলে শুরু করা যাক এবার।
আমাকে আমার মত থাকতে দাও। ও বাব্বা! হেব্বি স্বার্থপর তো।।
আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি । এতো ছকবাজ জান্তাম না।।
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়ায় থাক। ভেতরে ভেতরে হতাশা ভর্তি।।
সব পেলে নষ্ট জীবন। আঙ্গুর ফল টক।।
তোমার ঐ দুনিয়ার ঝাপসা আলোয়। গুরু চশমা নাও।।
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হাওয়া কাঁচের মত। এতো ম্যাটার ওয়েভ থিওরী।।
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও। ঠিক করে বলো - হাওয়ায় না জলে। গুলিয়ে যাচ্ছে।।
দুরবিনে চোখ রাখবো না.. না না না না না।  চোখ ঠিক নেই। দূরবীণ কি করবে।।
এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার। এতো দেখি ক্যাসাব্ল্যানকা।।
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।  জাহাজে আগুন লেগেছে। এটা কি গল্প লেখার সময়।।
আমি রাখতে চাই না আর তার। মানে।।
কোন রাত–দুপুরের আবদার। পরিষ্কার করে বলুন।।
তাই চেষ্টা করছি বার বার সাঁতরে পাড় খোঁজার। জাহাজে লাইফ জ্যাকেট ছিলো না।!
কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে। আকাশ কি ঢালু?!
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে। আকাশ থেকে নামার সিঁড়িও আছে!!
ঘুম ভাঙ্গা চোখে তুমি খুঁজো না আমায়। বয়ে গেছে।।
আসে পাশে আমি আর নেই। জানতাম চিট করবে।।
আমার জন্য আলো জ্বেলো নাকো কেউ। চান্স নেই। লোড শেডিং।।
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ। কোনো কাজ নেই।।
এই স্টেশন চত্ত্বরে হারিয়ে গিয়েছি। স্টেশন মাস্টারের সাথে দেখা কর।।
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না। বাড়ি ফিরলে প্যাঁদানি।।

ভালো না লাগলে আমি কি করব!!
না, দাড়াও আর একটা জোকস দিচ্ছি, পড়ে যাও।
একটা মেয়ে পরচিত এক কাপড়ের দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছে...
মেয়েঃ দাদ, এই জামাটার দাম কত?
দোকানদারঃ চালাকি করে বলল, পাঁচটা কিস।
মেয়েঃ ঐ জামাটার দাম কত?
দোকানদারঃ দশটা কিস।
মেয়েঃ দুটোই প্যাক করে দাও।
দামটা আমাদের কাজের মাসি দিয়ে যাবে। :D

সত্যি কথা


সত্যি কথা বলতে পারি চলতে পারি একা,
বলতে পারি অনেক কথা সোজা কিংবা বাঁকা ৷
ভাবতে পারি নিজের মতো চাইছি যত খুশি
হাসতে পারি সবার মতো পাচ্ছে যত হাসি
কাঁদতে পারি চুপিচুপি একলা বসে ঘরে ৷
সাহস খানাও দেখাতে পারি দেখিয়ে গায়ের জোরে
ভয় দেখালেও ভয় পেয়ে যায় , একটু কিছু হলে
এভাবেই বাঁচব শুধুই , সত্তি কথা বলে ৷
কবিতাটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত।
লিখেছেন আমার ফেসবুকের বন্ধু দিব্যেন্দু হালদার।

ম্যাগি পাঁচালি


পাঠকদের কাছে অনুরোধ লক্ষীর পাঁচালির মতন সুর করে পড়ুন।
আশা করি খুব ভালো লাগবে।
তাহলে,
এবার সুরু করা যাক...
ঘরে ঘরে হাহাকার, বুক ভরা ব্যথা,
শোন সবে বলি আজি ম্যাগি ব্রতকথা।
যে জন পড়িবে ব্রত দিয়া প্রাণ মন ,
অন্নপূর্ণা-র কৃপা দৃষ্টি পাইবে অনুক্ষণ!
অগাধ সুস্বাদু ম্যাগি আসিল জীবনে,
মর্তবাসী পড়িলো প্রেমে, নিশ্চিন্ত মনে।
ভাত ডাল রাঁধিবার নাহি প্রয়োজন,
দুমিনিটে ম্যাগি হয়, খুশি জনগণ!
পিতামাতা রাগি কহেন খাও ভাত বসে,
শিশুগণ ম্যাগি চায়, ফোলে গাল রোষে!
অতঃপর পিতামাতা মানিয়া নেন হার,
ম্যাগি -র জিত হয়, অতি অবিচার।
ঘরে ঘরে শুরু হয় ম্যাগি-র জয় গান,
অবিদিত মর্তবাসী পুলকিত প্রাণ।
দুমিনিটে ম্যাগি  রাঁধো সহজ উপায়,
ছেলে বুড়ো সকলেই খুশি মনে খায়!
হোস্টেলে ম্যাগি যেন মায়ের আশির্বাদ,
ক্ষুদার্ত ছাত্রদের বন্ধ আর্তনাদ।
ভোলাভালা প্রজাগণ রাখেনা খবর ,
জানেনা খুঁড়িছে তারা নিজের কবর!
লক্ষিরে উপেক্ষা করি, ডাকিতেছে যম ,
স্বেচ্ছায় বিষ পান, হায় বুঝিতে অক্ষম!
ভেজাল খেয়ে বড় হয় মর্তবাসীর ছানা,
বিশুদ্ধ কাহারে কয় নেই তাদের জানা !
দৈবযোগে করিল টেস্ট কোনো সুধিজনে,
দুখী হলো মর্তবাসী ম্যাগি-র পতনে।
ম্যাগিতে যে ঠেসে ভরা ক্ষতিকর সীসা ,
শুনি সব গুনি জনে হারাইল দিশা!
ধনমদে মত্ত নেসলেকরিয়াছে হেলা,
ঢালিয়াছে বিষ পেটে , অসাধু এ খেলা!
বুদ্ধিমান অমিতাভ ও পড়িলেন এ ফাঁদে ,
অলৌকিক ম্যাগি খাইয়া জয়া দেবী কাঁদে!
মাধুরী মোহিনী তবুও জড়াইল কেস-এ,
খেয়েছিল এক বাটি বিজ্ঞাপনের শেষে!
গাল ভরা টোলে আজ ডুবিয়া প্রীতি জিনটা,
এদিকে সিনেমা নেই তারউপর এই চিন্তা!
না জানিয়া শুনিয়া কেন করা বিজ্ঞাপন?
অভিযুক্ত হলেন এরা, ঝামেলা অকারণ!
ভয়ে ভয়ে মর্ত হোতে বিদায় নিলো ম্যাগি,
আবেগপ্রবণ মর্তবাসী হন গৃহত্যাগী।
ফেসবুকে  স্নৃতিচারণ, সেকি হাহাকার,
ম্যাগি প্রেমী মর্তবাসী করিছে প্রচার।
সুস্বাদু হইলেই তাহা হিতকর নয়,
লোভ মোহ ত্যাগই হলো জীবনের জয়!
স্বাস্থকর খাইয়া ভালো থাকো ভক্তগণ,
অন্নতে ফিরে যাও, করো লক্ষীর পূজন।
ম্যাগির ব্রতকথা হইলো সমাপন,
ভাত ডাল খেয়ে বাঁচো, জয় লক্ষীনারায়ণ!
সমাপ্ত
কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না।


যে যায় বলুক, আমি কিন্তু ম্যাগিকে খুব মিস করছি।
মাঝে মাঝেই খেতে ইচ্ছা করে।

মিথ্যাবাদী মা


এতটা দিন পেরিয়ে আজো মায়ের জন্য কাঁদি।
কারণ আমার মা যে ছিল ভীষণ মিথ্যাবাদী।
বাবা যেদিন মারা গেল আমরা হলাম একা
সেদিন থেকেই বাঁক নিয়েছে মায়ের কপাল রেখা।
মা বলতো বাবা নাকি তারার ভিড়ে আছে
লেখাপড়া করি যদি নেমে আসবে কাছে।
তারায় তারায় বাবা খুঁজি তারার ছড়াছড়ি
আমার মায়ের মিথ্যে বলার প্রথম হাতে খড়ি।
পাড়া পড়শী বলল এসে এই বয়সেই রাঢ়ি !
একা একা এতটা পথ কেমনে দিবে পাড়ি।
ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে কর আবার
মা বলল, ওসব শুনে ঘেন্না লাগে আমার।
একা কোথায় খোকন আছে, বিয়ের কী দরকার?
ওটা ছিল আমার মায়ের চরম মিথ্যাচার।
রাত্রি জেগে সেলাই মেশিন, চোখের কোণে কালি
নতুন জামায় ঘর ভরে যায় মায়ের জামায় তালি।
ঢুলু ঢুলু ঘুমের চোখে সুই ফোটে মা’র হাতে
আমি বলি, শোও তো এবার কী কাজ অত রাতে?
মা বলত ঘুম আসে না শুয়ে কী লাভ বল?
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা কথার ছল।
স্কুল থেকে নিতে আসা গাড়ী ঘোড়ার চাপে
আমার জন্য দাড়ানো মা কড়া রোদের তাপে।
ঘামে মায়ের দম ফেটে যায়, দুচোখ ভরা ঝিম
ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে আমায় দিত আইসক্রিম।
মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলতাম একটু নাও
মলিন হেসে মা বলত, খাও তো বাবা খাও।
আমার আবার গলা ব্যাথা, ঠান্ডা খাওয়া মানা
ওটা ছিল আমার মায়ের নিঠুর মিথ্যাপনা।
বড় হয়ে চাকুরী নিয়ে বড় শহর আসি
টুকটুকে বউ ঘরে আমার বউকে ভালবাসি।
শহুরে এলাকায় জায়গা নিয়ে ডেকোরেটর ধরে
সাজিয়ে নিলাম মনের মত অত্যাধুনিক করে।
মা তখনো মফস্বলে কুশিয়ারার ঢালে
লোডশেডিং এর অন্ধকারে সন্ধ্যা বাতি জ্বালে।
ত্রিফলা বাতির কোলকাতা শহর আলোয় ঝলমল
মাকে বলি গঞ্জ ছেড়ে এবার কোলকাতা চল।
মা বলল এই তো ভাল খোলা মেলা হাওয়া
কেন আবার তোদের ওই ভিড়ের মধ্যে যাওয়া?
বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার হাঁপানি ভাব হয়
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা অভিনয়।
তারপর আমি আরো বড়, অ্যামেরিকা অভিবাসী
বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ সুনাম রাশি রাশি।
দায়িত্বশীল পদে আমার কাজের অন্ত নাই
মায়ের খবর নেব এমন সময় কমই পাই।
মা বিছানায় একলা পড়া খবর এল শেষে
এমন অসুখ হয়েছে যার চিকিৎসা নেই দেশে।
উড়ে গেলাম মায়ের কাছে অনেক দূরের পথ
পায়ে পড়ে বলি মাকে এবার ফিরাও মত
একা একা গঞ্জে পড়ে কী সুখ তোমার বল?
আমার সংগে এবার তুমি এমেরিকা চল।
এসব অসুখ অ্যামেরিকায় কোন ব্যাপার নয়
সাত দিনের চিকিৎসাতেই সমুল নিরাময়।
কষ্ট হাসি মুখে এনে বলল আমার মা
প্লেনে আমার চড়া বারণ তুই কি জানিস না ?
আমার কিছু হয় নি তেমন ভাবছিস অযথা
ওটাই ছিল আমার মায়ের শেষ মিথ্যা কথা।
ক’দিন পরেই মারা গেল নিঠুর মিথ্যাবদী
মিথ্যাবাদী মায়ের জন্য আজো আমি কাঁদি।

Girl Friend - কে রাগানোর কবিতা


মেয়েরা কিন্তু আমার উপর রাগ করবেনা।
এটা জাস্ট একটা মজার কবিতা ছাড়া আর কিছু নয়।
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
Girl Friend আমাদের বাঁশ দিতেই থাকে।
.
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গ্যাছে টুটী,
স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলেই GF যায় ফুটি।
.
আমি হব সকাল বেলার পাখি।
GF তো জ্বালিয়ে খেল, দুঃখ কোথায় রাখি।
.
আয় ছেলেরা আয়, মেয়েরা ফুল তুলতে যাই।
GF বলে -তোমাকে নয়, ফুলকেও নয়, টাকা পয়সা চাই।
.
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই।
মাস শেষ হলেই GF বলে ইন্টারনেট বিল কই?
.
কাঠ বিড়ালি কাঠ বিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও।
GF এর দাবি প্রতিদিন আমায় শপিঙে নিয়ে যাও।
.
প্রেম করিয়া এই ভুবনে কেমনে মোরা চলি।
GF এর হাতে শপিং ব্যাগ আর মোদের পকেট খালি।
.
আমি বড়গলায় বলি -তোমার জন্য সাত সমুদ্র দেব আমি পাড়ি।
GF মনে মনে বলে, বৌ হয়ে কোনদিনও যাবনা তোর বাড়ি।

আপনি কি জানেন ভালোবাসা কি, না জানলে জেনে নিন


Valobasa

শুনুন তাহলে ভালোবাসা মানে কি...
ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,

পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;
ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,
বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি;
ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি
খুব করে ঝুঁকে থাকা;
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা
ভিতরে-বাহিরে দুজনের হেঁটে যাওয়া;
ভালোবাসা মানে ঠাণ্ডা কফির পেয়ালা সামনে
অবিরল কথা বলা;

ভালোবাসা মানে হাজার দুঃখের মাঝও নিজেকে 
সুখী রাখা ।
ভালোবাসা মানে শেষ হয়ে-যাওয়া কথার পরেও
মুখোমুখি বসে থাকা।
আজ এই পর্যন্তই, সাথে থাকবেন...
আর কমেন্ট অবশ্যই করবেন যদি ভাল লাগে।