বাস্তব অভিজ্ঞতা

 


দিনটা ছিল সোমবার পার্কে বসে আছি হঠাত দেখি একটা মেয়ে এসে পাশে বসলো এবং হাতে থাকা সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দিল । আমি বললাম কেন আপনি আমার সিগেরেটটা ফেলে দিলেন??

মেয়েটা কিছু না ভেবেই আমার গালে একটা চড় বসিয়ে দিল । আমাকে বলল আপনি তো নিজে সিগেরেট খাচ্ছেনি তার সাথে সাথে পরিবেশের ক্ষতি তো করছেন ই তার সাথে সাথে আপনার বাড়িতে থাকা লোকজনের তিলে তিলে গড়া একটা স্বপ্নকে চুরমার করে ভেঙ্গে দিচ্ছেন । অবাক হয়ে মায়েটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম । মেয়েটার কথা শুনে ভাবলাম ফালতু সিগেরেট খাওয়া ছেড়ে দেব । মেয়েটা উঠে চলে যাচ্ছিল তখনি মেয়েটার হাত ধরলাম এবং বললাম ধন্যবাদ । 

মেয়েটি কিছু না বলে হেসে সেখান থেকে চলে গেল । কিছুদিন ধরে আমি আর ওই পার্কে যেতাম না ।কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর আমি আবারও সেই পার্কে সেই জায়গায় বসে অনলাইন গেম খেলছি । হঠাত দেখি পিছন থেকে কে একটা এসে আমার কাঁধে হাত দিল । পিছন ফিরে দেখি সেই মেয়েটি । মেয়েটাকে দেখে কিছুটা খুশি হলাম আবার কিছুটা অবাকও হলাম । এত দিন হয়ে গেল মেয়েটাকে দেখিনি । হঠাতই ভগনবান কেমন আমদের দেখা করিয়ে দিল । কথায় কথায় জানতে পারলাম মেয়েটি এখানে পড়ার তাগিদে এসেছে মা বাবা ভাই এই নিয়ে তার একটা ছোট্ট পরিবার কিন্তু মেয়েটির খুবই কষ্ট কারণ তার বাবা তাকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে পরিক্ষায় ভালো নাম্বার না পেলে তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে পড়াশোনা করতে দেওয়া হবে না । সেইজন্য মেয়েটিও দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।

মেয়েটির নাম জিজ্ঞেস করাই সে জবাব দিল পীহূ এবং বলল তমার নাম কি ? আমিও নিজের নামে বললাম , টূবাঈ ।                                                                                                                                            মেয়েটি হঠাৎই করে সেখান থেকে উঠে বলল তোমার নাম টা খুব সুন্দর এবং এই কথা বলে চলে গেল । তারপর থেকেই সেই পার্কে  মাঝে মাঝে মেয়েটির সাথে দেখা হয় , এবং আমরা গল্প ও করি । তারপর আস্তে আস্তে আমরা বন্ধুত্ত করলাম , নিজেদের whatsapp number এক্সচেঞ্জ করলাম ।

এখন আমাদের পড়ার চাপ বেড়ে যাওায় আমরা আর পার্কে যাই না । এখন আমাদের whatsapp, messanger এর মাধ্যমে কথাবার্তা হয় । আস্তে আস্তে তার ব্যাপারে সমস্ত কিছু সে আমাকে বলে , আসলে মেয়েটি বড্ড একা । তার এই ব্যাস্ততার শহরে  চেনা বলতে কেউ নেই । মেয়েটিকে একদিন আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম মায়ের সাথে পরিচয় করাতে । পিহু আমদের বাড়িতে এসে খুব খুশি হল , মা ও খুব খুশি হল পিহুর সাথে কিছুক্ষন কথা বলে , দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে পিহুকে আবার হোস্টেলে দিয়ে আসলাম ।

4 comments:

  1. খুব সুনদোর গলপো গোলপো টা বাড়ালে ভালো হোতো

    উত্তরমুছুন
  2. I really enjoyed reading your story. Your stories are very beautiful. . Sorry; I would like to know where you get these stories from? I have a Hindi story website. If Ani could have helped me a little I would have benefited greatly. So, I can publish stories for my website https://storyinhindi.net/

    উত্তরমুছুন
  3. I really enjoyed reading your story. Your stories are very beautiful. . Sorry; I would like to know where you get these stories from? I have a Hindi story website. If Ani could have helped me a little I would have benefited greatly. So, I can publish stories for my website https://storyinhindi.net/

    উত্তরমুছুন