আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম

২০১৫ সাল কে পিছনে ফেলে রেখে আমরা ২০১৬ তে চলে আসলাম।
নতুন বছরের জন্য সবাই নানারকম পরিকল্পনা করবেন কিভাবে আগের বছরের ভুল গুলো বাদ দিয়ে আরও ভালোভাবে কাটানো যায়।
কিন্তু হটাৎ আজ মনে হল, নতুন বছর মানে তো ছোট্টো এই জীবন থেকে আরও একটা বছর চলে গেল।
আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম শেষের পথে।
তবে তাইবলে দুঃখ করে তো কোন লাভ নেই! So, enjoy...
Happy New Year 2016 - Valobasa
আমি আজ কিছুই লিখছি না। 
নতুন বছর তাই আপনাদের হ্যাপি নিউ ইয়ার উয়িশ করার জন্য এটা পোস্ট করলাম।
আমরা যেহেতু এখানে ভালোবাসা নিয়ে কথা বলি সেহেতু দুটো কথা শেরায় করছি।

ভালবাসা তৈরী হয় ভাললাগা থেকে।
স্বপ্ন তৈরী হয় কল্পনা থেকে।
অনুভব তৈরী হয় অনুভূতি থেকে।
আর বন্ধুত্ব তৈরী হয় মনের গভীর থেকে।
কাউকে নিয়ে বেশি ভেবো না, প্রেমে পড়ে যাবে।
কাউকে কষ্ট দিয়ো না, পরে নিজেই কষ্ট পাবে।
কাউকে পেয়ে ভুলে যেয়ো না, তা হলে সারাজীবন কষ্ট পাবে।
সবচেয়ে কষ্ট লাগে তখন, যখন পুরোটা পথ হাত ধরে হাটার কথা বলে মাঝ পথে হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলে, তোমার হাত ধরে আমার পথ চলা আর সম্ভব নয়। তাই হাতটা ধরার আগে ভাবা উচিৎ সারাটা পথ চলতে পারবে কি না...!
ওকে, বাই।
Happy New Year 2016

সবাই খুব মজা করো আজকের দিন, নতুন বছরের নতুন দিন।

স্বার্থপর ছেলে

আপনি নিজেও জানেন ও মানেন সব মেয়ে যেমন খারাপ বা হৃদয়হীনা হয় না, তেমন সব ছেলেরাও কিন্তু ধোয়া তুলশীপাতা নয়। অনেক ছেলেই কিন্তু চরম খারাপ।
আমি নিজেই একজন।
আমি হয়ত কারোর সাথে সেক্স করে ভিডিও ইন্টারনেটে দিতে পারব না, অতোটা খারাপ না।
কিন্তু অনেক ছেলেই যে এটা করছে তাতো প্রতিদিনই দেখছি।

Sad Girl Crying - Valobasa

ছেলেটা খুব ব্যাস্ত বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে। 
মেয়েটার কোন ব্যস্ততা নেই। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘ দ্যাখে, বৃষ্টি হলে দুহাত প্রসারিত করে বৃষ্টি ধরে। তারপর সেই বৃষ্টিস্নাত হাতটা মুখে মাখে, নদীর ধারে যায়, নদী দ্যাখে। 
ছেলেটা মহাব্যস্ত জেনেও মেয়েটা ফোন করে। 
ফোন করে ভাবে, ব্যস্ত ছেলেটা কী ফোন ধরবে? ওমা! ধরলোতো।
রিসিভ করলে মেয়েটা বলল, একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
- কী কথা? 
- কী করছো? 
- বিয়ের কেনাকাটা। 
- শাড়ি? 
- শাড়ি, সাথে আরও সব। 
- কার? 
- কার আবার! ঘরে যে নতুন আসবে তার। 
- আর? 
- উফ! বললামতো সব। 
- বিরক্ত হচ্ছো? 
- না। 
- উফ! বললে কেন? 
- উফ! ঠিক আছে আর বলবোনা। তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলো। 
- আমি জানি বিয়েটা মেয়েটার বাড়িতে হচ্ছেনা। 
- তো? কোথায় হচ্ছে জানতে চাও? 
- না না। খবরদার আমাকে বলবেনা। 
- কেন? 
- আমি যদি বিয়ের সময় হাজির হয়ে যাই! যদি ওখানে গিয়ে পাগলামী করি? যদি তোমাকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করি?
- তুমি করবেনা আমি জানি। 
- না না। আমিতো পাগলি। পাগলিরা কখন কী করে তা তারা নিজেরাও জানেনা। 
- এটাই তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথা? 
- না। 
- তো? 
- আজকের পর আমি যদি তোমাকে ফোন করি তাহলে তুমি রিসিভ করবেনা। 
- আচ্ছা। 
- শোনোনা, আমি কিন্তু বারবার ফোন করব। আমার নিজের ভেতর কোন কন্ট্রোল থাকবেনা। কিন্তু তুমি ফোন রিসিভ করবেনা। আমি কিন্তু শত শত ম্যাসেজ করবো, তুমি ম্যাসেজগুলো ওপেন করবেনা। কারন ম্যাসেজ পড়ে তুমি ইমোশনাল হয়ে যেতে পারো। তোমার মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। 
- গুরুত্বপূর্ণ কথা শেষ? 
- না। আরো আছে। 
- বলো। 
- বিয়ের আগের দিন তুমি সিম চেইঞ্জ করে নিও, ঠিক আছে? 
- কেন? 
আমারতো মাথা ঠিক থাকবেনা। আমি বারবার ফোন করবো। এরচেয়ে তোমার নাম্বার বন্ধ পেলে সেটাই ভাল। আর হ্যাঁ আমি বারবার ফোন করাতে যদি তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করে কে ফোন করছে, তুমি বলবা আননোন নাম্বার, বখাটে ছেলে ডিস্টার্ব করছে। 
- হু। 
- আর শোনোনো। 
বলো। 
- তুমি নাম্বার চেঞ্জ করলেও কিন্তু আমি নাম্বার খোঁজার চেষ্টা করবো। তোমার যে বন্ধুদের আমি চিনি তাদের কাছে তোমার নতুন নাম্বার দিওনা। আর দিলে ওদের বলে দিও ওরা যেন আমাকে তোমার কোন ইনফরমেশন না দেয়। 
- হু। 
আর একটা কথা। কেউ কেউ তোমার কাছে বলতে পারে আমি ভালো নেই বা অসুস্থ হয়ে গেছি। তুমি কিন্তু এটা ভেবে মন খারাপ করবেনা। আমি কিন্তু ভালোই থাকবো। আর অসুস্থ বা মন খারাপ হলেইবা কী! বাবা-মা মরে গেলেও তো মানুষ বেশিদিন খারাপ থাকেনা, তাইনা? আমি হয়তো কয়েকদিন মুখ ভার করে থেকে তারপর দিব্যি সুস্থ হয়ে যাবো। তুমি একদম চিন্তা করবেনা। ঠিক আছে? 
মেয়েটা আর কথা বলতে পারেনা। সে ফোন কেটে দেয়। তার দু-চোখ বেয়ে অঝোরে জল পড়তে থাকে। 
Sad Sick Girl - Valobasa

মেয়েটা আবার ফোন করে। 
ছেলেটা রিসিভ করেনা। 
মেয়েটা আবারো ফোন করে।
ছেলেটা কস্ট পায় কিন্তু রিসিভ করেনা। 
মেয়েটা ম্যাসেজ পাঠাই, প্লিজ, একবার রিসিভ করো, প্লিজ...।
ছেলেটা ম্যাসেজ খোলার সাহস পায়না। সে জানে ঐ ম্যাসেজের মধ্যে কী লেখা আছে! 
মেয়েটা আবার ফোন করে। 
ছেলেটা ফোন কেটে দিয়ে ফোনটা অফ করে। 
শপিংয়ের তালিকায় যুক্ত করে, নতুন সিম!।

বড্ড ভালোলাগে তোমার বকুনি

Tobuo Valobasi Tomake

ছেলে - জ্বর কমেছে?
মেয়ে - হ্যা কমে তো গেছিল কিন্তু কাল রাতে আবার আইসক্রিম খেয়েছিলাম তাই আবার বেড়েছে।
ছেলে - কি! তুমি পাগলি নাকি? আচ্ছা তুমি এমন কেন করলে? এত বেখেয়ালি? এখন মনে হচ্ছে তোমার গালে একটা চড় মারি। তুমি না লেখাপড়া কর? তারপরও কেন অশিক্ষিতর মত কাজ কর? আমার অবাক লাগছে তোমার মতো একটা স্টুপিডের সাথে আমি প্রেম করি।
এই মেয়ে নিজেকে কি মনে কর তুমি? তোমার ইচ্ছে মত সব হবে? তোমার লাইফ তোমার একার না? তাহলে আমার সাথে কেন প্রেম করো? কেন আইসক্রিম খেয়েছিলে? আমাকে উওর দাও?
মেয়ে - হাহাহাহাহা.... তুমি না! সত্যি বলছি আমি আইসক্রিম খাইনি। তোমার কাছথেকে বকা খাওয়ার জন্য মিথ্যে বলেছি, সরি জান।
তুমি যখন আমাকে এইভাবে বকা দাও তখন তোমার চোখে এই রাগের মাঝে আমি ভালোবাসা দেখতে পাই। তখন নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখি মেয়ে মনে হয়।
ছেলে - তুমি একটা ইডিয়ট, একটা স্টুপিড, একটা পাগলি। আর আমার জান, আমার ভালোবাসা।
মেয়ে - তাহলে চলো আমরা আইসক্রিম খাই।
ছেলে -  কি? এই জ্বরের মধ্যে...! তুমি সত্যিই একটা পাগলি! 
একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল, তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি।

ছলনাময়ী মেয়ে

Heartless Cheter Girlfriend - Valobasa

রাত ৪টে পর্যন্ত তোমার নাম্বারটা ডায়াল করেছি। বন্ধ ছিলো। 
পরশু দিনের পাঠানো মেসেজটা এখনো delivery হয়নি। একটু পর পর মেসেজটা চেক করি। 
আমি জানি অন্য মেসেজগুলোর মতো এই মেসেজটাও Failed হয়ে যাবে। আজ তিন মাস তোমার নাম্বারটা বন্ধ। আমার সাথে কথা না বলে তোমার রাতে ঘুম আসতো না। সারাদিন আমার খোজ না নিলে তোমার অস্বস্তি লাগতো। হাজারবার ভালবাসি না বললে তোমার মন ভালো হতোনা। 
এখন এসব কিছুই তোমাকে স্পর্শ করেনা। জানি অার করবেও না। 
তোমার জগতের হাজারটা আমি তোমাকে ঘিরে রেখেছে। 
আর আমার জগতের একমাত্র আমি সেই তুমি এখন যোজন দুরে। 
এটুকু জানি যে বাচতে কষ্ট হবে তোমাকে ছাড়া। প্রচন্ড কষ্ট...! প্রচন্ড...! 
আর এটাও মানি যে বাঁচতে হবেই, তোমাকে ছাড়াই।
আমাদের ভালোবাসার গল্পটা তোমার নিজের হাতে লেখা। একটি নাটকের মতোই প্রতিটা দৃশ্য তোমার নিজের হাতে সাজানো। তাই খুব সুন্দর একটা সমাপ্তি দিয়ে নিজেকে আড়ালে করতে কষ্ট হয়নি তোমার। 
আর আমি ব্যর্থ অভিনেতার মতো এখনও দাড়িয়ে আছি, নাটকের শেষ পর্বে। শেষ প্রহরে...!

ছেলেটার কিছু অগোছালো কথা

Cheleta R Meyeta - Valobasa

মেয়েটা পাখি হতে চাইল, আমি বুকের বাঁদিকে আকাশ পেতে দিলাম।
দু-চার দিন ইচ্ছে মতো ওড়াওড়ি করে বলল, তার একটা গাছ চাই।
মাটিতে পা পুঁতে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম।
এ ডাল সে ডাল ঘুরে ঘুরে সে আমাকে শোনালো অরণ্য বিষাদ।
তারপর টানতে টানতে একটা পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে নিয়ে এসে বলল, তারও এমন একটা পাহাড় ছিল।
সেও কখনো পাহাড়ের জন্য নদী হোতো।
আমি ঝর্ণার দিকে তাকিয়ে মেয়েটিকে বললাম, নদী আর নারীর বয়ে যাওয়ায় কোনও পাপ থাকে না।
সে কিছু ফুটে থাকা ফুলের দিকে দেখিয়ে জানতে চাইল, কি নাম?
বললাম, গোলাপ।
দুটি তরুণ তরুণীকে দেখিয়ে বলল, কি নাম?
বললাম, প্রেম।
তারপর একটা ছাউনির দিকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি নাম?
বললাম, ঘর।
এবার সে আমাকে বলল, তুমি সকাল হতে জানো?
আমি বুকের বাঁদিকে তাকে সূর্য দেখালাম।
ভালোবাসাই পাগোল ছেলের অগোছালো কথা বুঝতে না পারলে আমার কিছু করার নেই, সরি।
আমিও কিছু বুঝতে পারলাম না।

জীবন একটাই, ভালবাসুন আর উপভোগ করুন

একটা লোক মারা গেছে। 
দেহত্যাগ করার মুহুর্তেই সে দেখলো সর্বশক্তিমান ঈশ্বর একটা সুইটকেস হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছেন।
তখন ঈশ্বর আর মৃত ব্যক্তির কথোপকথন...

ঈশ্বর - ঠিক আছে, এখন তোমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। 
মৃত ব্যক্তি - এত তাড়াতাড়ি? আমার যে অনেক কাজ করার পরিকল্পনা ছিল প্রভু।
ঈশ্বর - আমি দু:খিত কিন্তু তোমার যে যাওয়ার সময় হয়েগেছে।
মৃত ব্যক্তি - আপনার হাতের ওই সুইটাকেসে কি আছে? 
ঈশ্বর - এটাতে তোমার সব জিনিস রয়েছে।
মৃত ব্যক্তি - আমার জিনিস? মানে আমার জামা কাপড়, টাকা পয়সা এসব?
ঈশ্বর - না, ঐ জিনিসগুলো কখনই তোমার ছিল না, তাই তুমি ওসব পৃথিবীতে রেখে এসেছ।
মৃত ব্যক্তি - তাহলে কি এটাতে আমার সব স্মৃতি রয়েছে?
ঈশ্বর - না, তোমার স্মৃতি রয়েছে তোমার অতিবাহিত সময়ের মধ্যে।
মৃত ব্যক্তি - তবে কি এটার মধ্যে আমার প্রতিভা রয়েছে?
ঈশ্বর - না, তোমার প্রতিভা তোমার পরিস্থিতির সাথে ছিল।
মৃত ব্যক্তি - তাহলে কি এটাতে আমার বন্ধু আর পরিবারবর্গ রয়েছেন?
ঈশ্বর - না, তারাও তোমার পথে হাটছে, জীবন শেষে তারাও তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।
মৃত ব্যক্তি - তবে কি এটাতে আমার বউ বাচ্চা রয়েছে?
ঈশ্বর - না, তোমার স্ত্রী-পুত্র রয়েছে তোমার হৃদয়ের মাঝে।
মৃত ব্যক্তি - তাহলে এটাতে নিশ্চয়ই আমার মৃতদেহ হবে? 
ঈশ্বর - না না, তোমার মৃত্যদেহ তো ধুলিকনায় পরিনত হয়েগেছে।
মৃত ব্যক্তি - তাহলে এটাতে আমার আত্মা রয়েছে! 
ঈশ্বর - না, তুমি বারবার দু:জনক ভুল করছ, তোমার আত্মা তো রয়েছে আমার মধ্যে, তোমার আত্মা আমাতেই বিলীন হয়েগেছে।
মৃত ব্যক্তিটি তখন চোখের জলে নয়ন ভাসিয়ে ঈশ্বরের হাত থেকে সুইটকেসটা খুলে দেখে সেটা খালি, কিছুই নেই তার মধ্যে।
ভগ্ন হৃদয়ে অশ্রুসজল নয়নে সে ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলো, এই সুদীর্ঘ জীবনে কিছুই কি আমার ছিল না? আমি কি জীবনে ও মরণে সব জায়গাতেই নি:স্ব?
ঈশ্বর বললেন - ঠিক বলেছো, সমস্ত জীবনে কিছুই তোমার ছিলনা আর এটাই ছিল তোমার ভ্রম। 
মৃত ব্যক্তিটি আশাহত হয়ে জিজ্ঞেস করলো - তাহলে আমার কি ছিল?
ঈশ্বর বললেন - জীবনের মুহূর্তগুলি শুধু তোমার ছিল। যতটা মুহূর্ত তুমি বেঁচেছিলে সেই মুহূর্তগুলি শুধু তোমার ছিল। 
জীবন শুধুমাত্র একটা মুহূর্ত। জীবনকে যাপন করুন, ভালবাসুন আর উপভোগ করুন।

বল্টু আর বল্টু

Post Office - Valobasa

একবার ছোট্ট বল্টু চিঠি লিখেছে ঈশ্বরের কাছে,
“হে ঈশ্বর আমার একটা সাইকেলের অনেক শখ। সাইকেলের কত টাকা দাম তো জানি না, যাই হোক, তুমি সাইকেল কেনার জন্য দশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও।”
ব্যস, এটুকু লিখে সে খামের উপর লিখলো "প্রাপক, ঈশ্বর" তারপর ডাকবাক্সে ফেলে এল।
এবার পিয়ন যখন এই চিঠি পেল তখন সে বেচারা পড়লো দারুণ বিপাকে। 
কি করে, কি করে! সে দেখালো তার কর্তা বাবুকে। তিনি আবার দেখালেন তার কর্তা বাবুকে এভাবে হাত ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে চিঠিটি গিয়ে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
তিনি চিঠিটা পড়ে বললেন, বাচ্চাটিকে হতাশ করা চলবে না। ওর ঠিকানায় ৩ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও।
কিছুদিন পর বল্টুর আরেকটি চিঠি এসে পড়ল সেই পিয়নেরই হাতে। 
এবার সে আর ভুল করল না, সোজা পাঠিয়ে দিলো প্রধানমন্ত্রীর দফতরে!
প্রধানমন্ত্রী চিঠিটি খুলে পড়ছেন,
"হে ঈশ্বর, আমি জানি যে তুমি আমার চিঠি পেয়ে খুশি হয়ে আমার জন্য দশ হাজার টাকাই পাঠিয়েছিলে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বোধয় সাত হাজার টাকা মেরে দিয়েছে আর আমায় শুধু ৩ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। আমি এর বিচার চাই!" :D :D
Bee At Tree - Valobasa
Bee At Tree - Valobasa.In
বল্টু - ডাক্তার সাহেব, আমাকে মৌমাছিতে কামড় দিয়েছে। খুব ব্যথা হচ্ছে। কিছু একটা করুন।
ডাক্তার - ভয় পাবেন না! চিন্তার কিছু নেই! আমি একটা মলম লাগিয়ে দিচ্ছি।
বল্টু - কিন্তু মলম লাগাবেন কীভাবে? মৌমাছি তো এতক্ষণে অনেক দূরে চলে গেছে!
ডাক্তার - মৌমাছির উপর না। মলম লাগাব যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে।
বল্টু - আচ্ছা, তাহলে আপনাকে আমাদের আম বাগানে যেতে হবে, আমগাছের নিচে! মৌমাছিটি সেখানেই আমাকে কামড়টা দিয়েছে!
ডাক্তার - ওরে বোকা! আমি তোমার শরীরের যেখানে কামড়েছে সেখানে লাগাব।
বাল্টু − ও....! আঙ্গুল, আঙ্গুল! কামড় দিয়েছে আঙ্গুলের মাথায়।
ডাক্তার - কোনটায় কামড়িয়েছে?
বল্টু − কোনটায় কামড়িয়েছে! সেটা তো আমি ঠিক বলতে পারব না। ওখানে অনেক মৌমাছি ছিল আর সব একই রকম দেখতে। :D :D 

সকল প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি

একজন মানুষ তার প্রিয়জনকে সারপ্রাইজ দিতে চায় কেন?
অবশ্যই প্রিয়জনের বিস্মিত চাহনি দেখার জন্যে, তাইতো?
আজ আপনাদের সাথে যে কথাগুলো বলব, সেগুল শোনার পর আপনার হয়ত মনে হবে এগুলো ত একদম ফালতু কথা! কিন্তু আমি বলছি এর অনেক দাম আছে আপনার সম্পর্ক ভাল রাখার জন্য।


মেয়েটার জন্মদিন, সে ভেবেছিলো সবার আগে ফোন করে উইশ করবে ছেলেটা।
কিন্তু কীসের কী! রাত তিনটে বাজে! কত্তো মানুষ এরই মধ্যে উইশ করে ফেলেছে অথচ ছেলেটার কোনো খবর নেই!

ঘুম ঘুম চোখে তবুও হা করে মোবাইলের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটা।
প্রতীক্ষায় আছে প্রিয় মানুষটার ছোট্টো কোনো টেক্সটের, খুবই সাদামাটা কোনো উইশের।
সে কী আমার জন্মদিনের কথা ভুলে গেছে! এত্তো ভুলোমনা ছেলেটা!
আমি তাকে মনে করিয়ে দেবনা - এইসব ভাবতে ভাবতে ছেলেটার উপরে ভারী অভিমান হলো তার!

ঠিক এমন সময় ছেলেটা ফোন করল, মেয়েটা ঝাঁপিয়ে পড়ে রিসিভ করতেই ছেলেটা খুবই কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বললো "একটু ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াতে পারবে প্লিজ? মোবাইলটা কান থেকে নামীওনা।"

মেয়েটা বারান্দায় ছুটে গেল, দু-তলার উপর থেকে নীচের দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল!
১৫ জন শিশু হাসি হাসি মুখে এক সারিতে দাঁড়িয়ে, প্রত্যেকের হাতে এক একটা অক্ষর!
তারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ফুটিয়ে তুলেছে- "HAPPY BIRTHDAY SUMU"
তাদের সামনে বার্থডে কেক হাতে বোকা বোকা মুখ করে ছেলেটা দাঁড়িয়ে!

বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই মেয়েটার মোবাইলে ছোট্টো একটা টেক্সট পৌঁছে গেলো "You're the best thing that could ever happen to me. Thanks a lot for making me complete. Happy Birthday. আমার
অগোছালো জীবনটাকে গভীর মমতায় গুছিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ, শুভ জন্মদিন।"

মেয়েটা ফোন কানে ধরেই রেখেছিলো, ছেলেটা নীচে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বললো- " Happy Birthday My Sweet Sumu' আজ সারারাত তোমায় গান শোনাবো, বেন ডোভার দিয়েই শুরু করি তাহলে?"

মেয়েটা কপট বিরক্তি দেখিয়ে বলা শুরু করলো "তুমি এতো বোকা কেন বলোতো? বাড়ির কেউ দেখে ফেললে!"
বলতে বলতেই তার দু'চোখ জলে ভরে উঠলো, গলা ধরে এলো!

সে তার কথা শেষ করতে পারলো না, মুক্তোর মতো এক ফোঁটা আনন্দাশ্রু টুপ করে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার গালে এসে পড়লো, এই অশ্রুবিন্দুর কোনো বিনিময় ছেলেটার জানা নেই, দুনিয়ার কোনো পুরুষেরই জানা নাই আসলে!


কিছুদিন আগে দেখলাম একটা সিনেমাতে ট্রল করে বলা হয়েছে "বহু মেয়ে আছে এমন যাদেরকে নিজের হৃৎপিণ্ড রান্না করে খাওয়ালেও নাক সিটকায়ে বলবে  "তরকারীতে লবণ কম হয়েছে!"
আসলেই কি তাই?
আমার কেন জানিনা মনে হয়, মেয়েরা তার প্রিয়জনের খুবই সাধারণ কাণ্ডকেও অত্যাশ্চর্য কারিকুরি ভেবে আহ্লাদিত হয়! পরিকল্পনাবিহীন বোকামিকেও সুনিপুণ কৌশল হিসাবে বিশিষ্ট করে।
একসাথে আইসক্রীম খাওয়ার সময় তার ঠোঁটের কোণে বেখেয়ালে লেগে যাওয়া আইসক্রীম আলতো করে মুছে দিলেই সে নিশ্চিত হয়ে যাবে এই ভেবে যে তার ব্যাপারে তার সঙ্গীর পূর্ণ মনোযোগ আছে!
অথবা রোজ সকালে অফিসে যাওয়ার আগে গভীর আবেগে তার কপালে চুমু খাওয়া, কর্মব্যস্ত দিনের ফাঁকে সামান্য ফুরসত মেলা মাত্র তার নম্বরে পাঠানো ছোট্টো টেক্সট "তোমাকে মিস করছি খুব।"

এক দম্পতির কথা শুনুন, স্ত্রী সব কাজে সিদ্ধহস্ত শুধু জুতোর ফিতে বাঁধতে পারে না!
প্রতিদিন সকালে স্বামীর সঙ্গে জগিংয়ে যাওয়ার সময় স্বামী তার কেডসের ফিতে বেঁধে দেয়!

স্বামী যখন গভীর মনোযোগে তার স্ত্রীর কেডসের ফিতে বাঁধে, স্ত্রী তখন হা করে তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে "এইজন্যেই ইচ্ছা করে ফিতে বাঁধা শিখিনা, বুঝলে? নাহলে এক-একটা দিন বড্ড সাদামাটা ভাবে শুরু হতো!"

তুমি দেখতে কুশ্রী, গভীর আবেগে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারো না, হয়তোবা হাসলে গালে টোলও পড়ে না কিন্তু প্রিয় মানুষটার আবেগ কি তোমাকে ছুঁয়ে যায়? তাহলে নির্বিকার থেকো না, বিস্ময় গোপন করো না প্লীজ! উজাড় করে দাও।

ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হবেনা


প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলে কি করবে তুমি?
ভুলে যাবো, ছেলেটা উত্তর দিলো।
ছেলেটার উত্তর শুনে মেয়েটি রাগে অন্যদিকে মুখ ঘোরালো।
ছেলেটি আবার বলল, তুমিও আমাকে ভুলে যাবে, সবচেয়ে বড় কথা, আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো, তার চেয়েও বেশি দ্রুত তুমি আমাকে ভুলে যাবে।
কি রকম? প্রেমিকা প্রশ্ন করলো।
ছেলেটি বলতে শুরু করল, "মনে করো বিয়ের প্রথম তিনদিন তুমি এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকবে। শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেকআপ এর প্রলেপ, চারিদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ, মানুষের ভিড়, তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে করতে পারবে না।
'আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়ত কোন বন্ধুর সাথে উল্টাপাল্টা কিছু খেয়ে পড়ে থাকবো। আর তার কিছু পর তোমাকে হৃদয়হীনা বলে গালিদেব, আবার পরক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির কথা মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো।
বিয়ের পরের দিন তোমার আরো ব্যস্ত সময় কাটবে। আর প্রথম সপ্তাহে, স্বামী আর মিস্টির প্যাকেট এই দুটো হাতে নিয়ে তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ঘুরে বেড়াবে। আমার কথা তখন তোমার হঠাত হঠাত মনে হবে। এই যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক সাথে গাড়িতে চড়ার সময়।
আর আমি তখন ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব, আর বন্ধুদের বলব বুঝলি ভাই, জীবনে প্রেম ভালোবাসা কিছুই না, সব মিথ্যে।
পরের একমাসে তুমি হানিমুনে যাবে, নতুন বাড়ি পাবে, শপিং, ম্যাচিং, শত প্লান, আর স্বামীর সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া। তখন তুমি বিরাট সুখে, হঠাত আমার কথা মনে হলে ভাববে, আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধহয় ভালই হয়েছে।
আমি ততদিনে বাবা, মা, বন্ধু কিংবা বাড়ির বড়দের বকা খেয়ে মোটামুটি সোজা হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি কিছু একটা কাজ পেতে হবে, তোমার চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
সবাইকে বলব, তোমাকে ভুলে গেছি। 

কিন্তু তখনও মাঝরাতে তোমার এসএমএস গুলো বেরকরে পড়বো আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ব। 
দুই বছর পর তুমি আর কোন প্রেমিকা কিংবা নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো, পুরাতন প্রেমিকের স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ-ভালোবাসা, এসবের চেয়েও বাচ্চার ডায়াপার, হামের টীকা এসব নিয়ে বেশি চিন্তিত অর্থাত তখন আমি তোমার জীবন থেকে মোটামুটি পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো।
এদিকে ততোদিনে আমিও একটা কাজ পেয়েছি, বিয়ের কথা চলছে। মেয়েও পছন্দ হয়েছে। আমি এখন ভীষণ ব্যাস্ত। এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে গিয়েছি। 
শুধু রাস্তা ঘাটে কোন প্রেমিক-প্রেমিকা দেখলে তোমার কথা মনে পড়বে। কিন্তু তখন আর দীর্ঘশ্বাসও আসেবে না....।
এতদূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখল তার প্রেমিকা ছলছল চোখ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে কোন কথা নেই। ছেলেটি ও চুপচাপ।
একটু পর প্রেমিকা বললো - "তবে কি সেখানেই সব শেষ?"
ছেলেটি বলল - না।
কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার স্বামী নাক ডেকে ঘুমুবে, আর আমার বউও ব্যস্ত থাকবে নিজের ঘুমরাজ্যে। 
শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম থাকবেনা, সেদিন অতীত আমাদের দুজনকে নিঃশ্বদে কাঁদাবে। 
ভগবান ব্যাতীত যে কান্নার কথা কেউ জানবে না, কেউ না...।
মেয়েটি ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল...

বৌমা আমাদের কিন্তু ছেলে চাই

ছেলে-ছেলে করতে করতে এখন বিয়ে করতে গেলে আগে চাকরি দেখবে তারপর ছেলে।
আসলে বিয়ের বাজারে মেয়েদের এখন বেশ দাম।
কিন্তু তবুও বেশিরভাগ লোক এখনও ছেলেই চাই।

- মা কি হয়েছে? কাঁদছো কেন?
- কিছু না রে সোনা। বড্ড কষ্ট হচ্ছে রে মা।
- ওরা কেউ আমাকে চায় না, না?
- নাঃ রে। ওরা মেয়ে চায় না।
- মা তুমি ওদের বলো না আমি ওদের খুব ভালোবাসবো, বড় হয়ে ওদের খুব আদর যত্ন করবো, ওনারা যা বলবেন শুনবো, কোনো কষ্ট দেবো না। তাহলেও ওরা আমায় আনবে না?
- ও মা কি হল? আরে ও মা কেঁদো না। আমার জন্য কত কষ্ট তোমার। দুদিন আগেও দেখো সব ঠিক ছিল। তুমি, আমি, বাবা একসাথে ছিলাম। বাবা কত্ত আদর করতো আমায়। এখন তো আমার জন্য তোমাকেও আদর করে না। আমার খুব খারাপ লাগছে, খুব কষ্ট হচ্ছে। মা আজ ডাক্তার যে ওষুধটা দিয়েছে খেয়ে নাও। কেঁদো না তুমি।
- কান্নাভেজা মায়ের কন্ঠস্বর বলে উঠলো জানিস তুই কিসের ওষুধ ওটা? ওটা আস্তে আস্তে তোর ছোট্ট শরীরটা গলিয়ে দেবে আর কাল সকালেই তুই আমার থেকে আলাদা হয়ে যাবি। তোর ছোট্ট হাত পা গুলো, ছোট্ট হার্টটা সব গলে জল হয়ে যাবে।
- হয়ে যাক মা। কোন কষ্ট হবে না আমার। সব সহ্য করে নেব আমি। তবে তোমাকেও কথা দিতে হবে কিন্তু তুমি তোমার ছেলের থেকে আমাকেই বেশি ভালোবাসবে। আমিই কিন্তু তোমার সবচেয়ে প্রিয়। আমিই তো তোমার প্রথম বলো। 
এই বলে স্বরুপা দেবী থামলেন একটু। কান্নায় গলা বুজে আসছে। এক টানা কথা বলতে গেলেই হাঁফ ধরেযায় আজকাল। প্রীতি তাঁর বুকে মাথা রেখে তাকে জড়িয়ে আছে ছলছল চোখে। আগলে নিলেন নিজের কাছে।
বড্ড ভালো মেয়েটা। পাঞ্জাবী পরিবারের মেয়ে অথচ কত সুন্দর মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছিল সংসারে। সুমন এর চোখে মুখেও খুশি ঝিলিক দিত। সুমন যেদিন প্রথম বাড়িতে বলেছিল সুমনের বাবা, ঠাকুমা, পিসিমনি সবাই নাক কুঁচকে ছিল। কিন্তু জেদ ছাড়েনি ও। ওই মেয়েই আসবে। সুমনের ভালোবাসার থেকেও হয়তো জেদের জোর অনেক বেশি ছিল।  তাই পরের অগ্রহায়নেই চন্ডীগড়ের ভট্টল পরিবারকে কলকাতায় উড়িয়ে এনে চার হাত এক করেছিলেন। 
কপালের দোষ। বিয়ের দুবছরের মধ্যেই সুমন হার্টের অসুখে গত হল। 
মা বাবা মেয়েকে নিয়ে যেতে এলেও পাগল মেয়েটা গেলনা। 
চোখের জলে ভিজে থাকা একটা মুখ আর কত সহ্য করা যায়। জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। নিজের লোকেদের কাছে আনন্দে থাকুক। তাতেও শান্তি নেই। মেয়ের রোজ ফোন করা চাই।
পুজোতেও আসে। এক মাস বুড়ো বুড়ির সাথে কাটায়। এবছরও এসেছে। 
ওর মা বাবা নিয়ে যাবে ওকে কাল। ওরা চায় আবার বিয়ে দিতে। 
সুমনের বাবাকে বলেছিল সেদিন। কানে এসেছিল দু একটা কথা।
মনটা তারপর থেকেই বড্ড হুহু করছে। তাহলে এটাই কি শেষ আসা! 
আজও দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষণ ওঘরে শ্বশুরের সাথে টিভি দেখতে দেখতে ইষ্টবেঙ্গলের হয়ে গলা ফাটাল তারপরই এসে জড়িয়ে পাশে শুলো। 
একথা সেকথা হতে হতে হঠাৎ ই মনের কোণায় জমে থাকা একটা কষ্ট বাইরে এনে ফেলেছিলেন।
আজ রাতটাই শেষ। কাল বিকেলের ট্রেন। 
মা বাবাও যেভাবে বিয়ের জন্য জোর করছে কে জানে এটাই শেষ আসা কিনা। রাতে শুয়ে শুয়ে প্রীতির 
চোখে কত দৃশ্য ভেসে উঠছে।
লাল লেহেঙ্গা, টোপর পরা সুমনের ক্যাবলা হাসি, মালা বদল, প্রথম ইলিশ মাছ রান্না, আলতা পরা, পায়েস বানানো, শাড়ী পরা আর সব কিছুর সাথে একটা স্নেহমাখা ভালোবাসা। 
দুপুরবেলায় শোনা কথাগুলো আর মা এর সেই কান্না তোলপাড় করে দিচ্ছে মনটাকে।
আস্তে আস্তে ফোনটা হাতে তুলে নিল। 
অপরপ্রান্তের অনেক অনুরোধ উপরোধেও এপ্রান্ত একটুও নরম হলনা। 
ফোনটা ছাড়ার পরই আশ্বস্ত হল বরং।
এখনও কানে ভাসছে একজন মা আর তার ছোট্ট মেয়ের কথাগুলো।
এজন্মে তো তোমার আদর পেলামনা পরের জন্মে আবার আসব। তখনও ফিরিয়ে দেবে না তো?
না রে মা। পরের জন্ম তো অনেক দেরী। এজন্মেই তো তোকে চাই।
যে ছেলের জন্য আজ তোকে যেতে হচ্ছে, রাজরানীর মত সেই ছেলের হাত ধরেই ফিরিস।
ধীর পায়ে স্বরূপাদেবীর কাছে গিয়ে আবারও বুকে মাথা রাখলো প্রীতি।
আর কোত্থাও যাবো না মা। এবার আর কেউ আমার মন গলাতে পারবে না।

মায়ের জন্মদিন

দুনিয়াতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একটাই আর সেটা হল মায়ের ভালোবাসা।
বাকি সম্পর্কগুলোর কথা এখন আর বলছি না।

মাগো মা তোমার নাকি জন্ম দিন
অবাক লাগে হাসি পায় মা অন্তহীন।
মা মানেতো শুধু-ই কাজ
কুটনো কোটা বাটনা বাটা একটু সাজ।
বাবার অফিস আমার স্কুল 
কোনকিছুতে হয়না ভুল।
গয়লা ধোপা কাজের লোক
সব কিছুতেই সজাগ চোখ।
সবার জন্য সময় দিলে 
জীবনে তুমি কি বা পেলে?
সন্ধেবেলা একটু খানি টিভি সিরিয়াল 
তাতেও তুমি হও যে নাকাল।
কেক কাটিয়েই তোমার মজা
হয়ে ওঠেনি নিজের জন্ম-তারিখ খোঁজা।
আচ্ছা মাগো কয়েকটা দিন সবুর করো
নিজের হাতে শক্ত করে ছুরি ধরো।
হোকনা তোমার দন্তহীন বা পক্ক কেশ
নিজের হাতে কেক কাটতে লাগবে বেশ।


প্রেমের পর বিয়ে, প্রেমের জয়

আজকের পোস্টটা প্রেম আর বিয়ে সম্পর্কীয়,
তবুও অনেক মজার।

একটা সুন্দরী মেয়ে অনেকক্ষন ধরে উকিলের চেম্বারে বসে আছে।
কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে, কিন্তু না জানি কখন ওর ডাক এসে যায় সে জন্য গানটাও ঠিকমত শুনতে পাচ্ছিল না।
উকিলের একটা লোক এসে মেয়েটিকে বলল, দিদি, উকিল সাহেব আপনাকে ডাকছে।
উকিল সাহেবের রুমটা বেশ সাজানো পরিপাটি, চারিদিকে সেলফ, মাঝখানে একটা বিশাল ডেক্স, আর দুটো কম্পিউটার রয়েছে।
মেয়েটি উকিল সাহেবের ডেক্সের সামনে দাড়াল। 
সাদা-কালো দাড়ি-গোফওয়ালা উকিল তার নাকের ডগায় থাকা চশমার আধা ফোকর দিয়ে মেয়েটির দিকে তাকালেন, বললেন বসো। (লোকটাকে বেশ রাশভারী আর রাগী বলে মনে হল)
মেয়েটি উকিলের সামনের চেয়ারে বসে পড়ল।
- কি সমস্যা?
- আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি।
- সেটা আমাকে কেন বলতে এসেছো, ছেলেটাকে বলো গিয়ে যাও!
- 3 বছর আগেই বলেছি।
- সে কি মেনে নিয়েছে?
- তিন বছর আগেই মেনে নিয়েছে।
- তাহলে কি সমস্যা?
- আমরা বিয়ে করতে চাই।
- করে ফেল।
- কিন্তু এখানেই সমস্যা।
- সেটা কি?
- ছেলে তার বাবাকে খুব ভয় পায়।
- তোমার বয়স কত?
- ২০, আর ছেলের বয়স ২৪।
- তাহলে তোমরা দুজনেই তো প্রাপ্তবয়স্ক , তাহলে আবার কি সমস্যা?
- ছেলে ভয় পায় তার বাবা পরে যদি কোন ঝামেলা করে। তাই আমি এসেছি আপনার কাছে সহায়তা চাইতে যাতে পরে কোন সমস্যা না হয়।
- দেখ মেয়ে, সংবিধানেই লেখা আছে যে ১৮ বছর হলেই সে মেয়ে/ছেলেকে সাবালক বলে গন্য করা হয়। এসময় তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাতে কেউ বাধা দিতে পারে না।
- কিন্তু এরপর যদি ছেলের বাবা কোন আইনি ঝামেলা করে?
উকিল এবার চেয়ার ছেড়ে উঠলেন, বাম পাশের সেল্ফ থেকে একটা বই নিয়ে কিছু পাতা উল্টালেন,
এর পর মেয়েটির কাছে এসে বললেন, সেক্ষেত্রে ছেলেকে প্রমান করতে হবে যে সে যা করেছে তা সাবালকের অন্তর্ভুক্তি নিয়েই করেছে, তাহলে ছেলের বাপের কিছু করার থাকবে না।
- আঙ্কেল, ওর বাবা যদি ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়? সকল সম্পত্তি থেকে ওকে বিতাড়িত করে দেয়, তাহলে..
উকিলের মাথায় চুল নেই, তাও হাতের কলম দিয়ে মাথা চুলকালেন, তারপর অনেকক্ষন কিছু বই ঘাঁটলেন, এরপর মেয়েটিকে এক ঝাঁক আইনের নিয়ম দ্বারা বুঝালেন যে সেক্ষেত্রে ছেলে ইচ্ছা করলে মানবাধিকার খর্ব করার অপচেষ্টার অভিযোগ করতে পারে তার বাবার বিরুদ্ধে এবং তখন তার বাবা বাধ্য তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে।
- তাহলে সব বিষয় দেখে বুঝলাম জয় আমাদেরই হবে, মানে আমাদের প্রেমের জয়। মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো, আর কোন বাধা নেই তো আমাদের বিয়েতে?
- নাহ, তুমি নিশ্চিন্ত থাকো।
- তাহলে আপনি বলছেন আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করলে আপনি কোন ঘন্টাই করতে পারবেন না, তাই তো?
- মানে?
- মানে আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করতে চলেছি...
আর নয়, বাকিটা বাকি থাক।

কিছু ঘরোয়া টিপস সাথে মজা ফ্রি

আজকের পোস্টটি শুধু মজাই ভরপুর।
সাথে নিচের ছবিটাও তো কম নয়, চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমে বল্টুর একটা মজার গল্প হয়ে যাক। তারপর বাকিটা দেখছি...
বল্টুর এক চাইনীজ আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বল্টু তাকে দেখতে গেল।
চাইনীজ আত্মীয়টি বল্টুকে দেখে বললো “চিং চোঙ মিইকুং কং চা নাউ ” কিন্তু বল্টু কিছু বুঝতে পারলো না।
চাইনীজ আবার বলল “চিং চোঙ … মিইকুং কং … চা নাউ ” এবারও বল্টু কিছু না বুঝে হা করে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
এভাবে কয়েকবার বলার পর চাইনীজ আত্মীয়টি মরে গেল…!!
বল্টু ভাবল নিশ্চয়ই তার আত্মীয় মরার আগে তার শেষ ইচ্ছা ওকে বলতে চেয়েছিল।
তাই সে সেই কথাটার অর্থ জানার জন্য চীনে গেল।
সেখানে গিয়ে বল্টু জানতে পারল কথার অর্থ ছিল, "কুত্তারবাচ্চা আমার অক্সিজেন পাইপ থেকে পা সরা!”

এবার আসছি কিছু অজানা ঘরোয়া জ্ঞান নিয়ে...
১. যদি দুধ ফোটাতে গিয়ে কেটে যায়, তাহলে চুপচাপ সাদা সুতো দিয়ে সেলাই করে দিন, কেউ বুঝতে পারবেনা।
২.যদি আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকে তাহলে টাক করে নেন , চুল ঝরার সমস্যা থেকে চিরমুক্তি।
৩.যদি আপনার দাঁতে পোকা হয়ে থাকে তাহলে এক দুই সপ্তাহ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন, দেখবেন পোকা গুলো না খেতে পেয়ে দাঁতের ভেতর মরে গেছে।
৪. যদি গলায় খুব ব্যাথা করে তাহলে কাউকে দিয়ে গলাটা জোরে টিপিয়ে নিন, দেখবেন আর কোনো দিনও গলায় ব্যাথা হবেনা।
৫. রাতে আপনার ঘুম না আসার সমস্যা থাকলে চিন্তা করার কিছু নেই দিনের বেলা ঘুমিয়ে নেবেন।
৬. যদি আপনার হাতে খুব ব্যাথা হয় তাহলে একটা শক্ত মোটা হাতুড়ি নিয়ে জোরে জোরে পায়ে মারুন, বিশ্বাস করুন দেখবেন হাতের ব্যাথা ভুলে গেছেন।

আশা করি ভালোই মজা পেয়েছেন।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন প্লিজ, সাথে আমাদের এই সাইটটার কথাও শেয়ার করবেন।

ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের প্যান্ট খোলানোর বাজী

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম একটা মজার গল্প।
কথা না বলে শুরু করে দিচ্ছি...

এক ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করছে এক কাস্টমার প্রত্যেকদিন ব্যাঙ্কে এসে এক লাখ বা দেড় লাখ টাকা জমা করছে।
ম্যানেজারের খুব সন্দেহ হল।
তাই একদিন ঐ কাস্টমারকে চেম্বারে ডেকে নিয়ে বসাল।
ম্যানেজার : আপনি কি করেন?
কাস্টমার : আমি তো কোন কাজ করি না।
ম্যানেজার : সে কি! আমি তো মনে করলাম আপনার কোনও বড় ব্যাবসা আছে।
কাস্টমার : না না আমার কোনও ব্যাবসা নেই। আমি শুধু লোকজনের সঙ্গে বাজী ধরি। আর ভগবান আমার সহায়, আমি কখনও বাজীতে হারি না। আর এটাই আমার ইনকাম।
ম্যানেজার: তার মানে ক্রিকেট খেলার বেটিং জাতীয়?
কাস্টমার: না না। আমি এইসব চক্রের সঙ্গে জড়িত নই। আচ্ছা ম্যানেজারবাবু, আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আপনি দুবার পায়চারী করলেন। আপনার ত পাইলসের প্রবলেম। ব্যাথা হচ্ছে কি?
ম্যানেজার: পাইলস! না না আমার এমন কোন রোগ নাই।
কাস্টমার: আমি মানুষ দেখলেই বুঝতে পারি কার কি রোগ। আপনার আলবৎ পাইলস আছে।
ম্যানেজার: অসম্ভব। একদমই নেই।
কাস্টমার: আপনার পাইলসের প্রবলেম আছে। কালকের মধ্যেই ভীষণ ব্যাথা অনুভব করবেন। আর আমি এই জন্য এক লাখ টাকার বাজী রাখতে পারি।
ম্যানেজার সকালেই শরীর চেক আপ করিয়ে এসেছে। তাই সে নিশ্চিত এবং এক লাখ টাকার বাজীতে রাজী হয়ে গেল।
কাস্টমার: ঠিক আছে। আমি কাল সকালে আপনার এখানে ডাক্তার নিয়ে আসব।
পরদিন সকালে এক ডাক্তার এবং আরও দুজন লোক সঙ্গে নিয়ে কাস্টমার হাজির। ম্যানেজার প্যান্ট খুলে ডাক্তারকে দেখাল। 
ডাক্তার বলল যে পাইলস নেই। কাস্টমার বসে বসে হাসছে।
তাই দেখে ম্যানেজার বলে উঠল: আপনি হেরে গিয়েও হাসছেন যে!!
কাস্টমার: আমার সঙ্গে এই যে দুইজন লোক দেখছেন, এদের সঙ্গে আমি দুই দুই লাখ টাকার বাজী ধরেছি। আপনাকে এক লাখ দিয়ে আমার তিন লাখ থাকবে। 
এদের সঙ্গে আমার বাজী ছিল, ম্যানেজারের চেম্বারেই ম্যানেজারের প্যান্ট খোলানো নিয়ে! :D :D

উফফ! প্রেম কি অসম্ভব বেদনাদায়ক

একটা খবর হয়ত আপনার চোখে পড়েছে,
দুজন প্রেমিক প্রেমিকা পারিবারিক কোনও সমস্যার কারনে একসাথে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।
খবরটা আমিও বিস্তারিতভাবে পড়িনি, জাস্ট হেডলাইনটুকু।
তবে এটা সত্যিই যে প্রেম করলে এমন অবস্থার মধ্যে পড়তেই হয়, মাঝে মাঝে মনে আসবেই এমন কথা।
আমারও এমন অবস্থা, তবে এখনও যে চলে যাইনি সেটা তো বুঝতেই পাছেন।

তো আজ আপনাদের এমনই একটা মর্মস্পর্শী গল্প আপনাকে শোনাব। চলুন শুরু করা যাক।

সুমি এখন নবম শ্রেণীতে পড়ে। 
প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ১টা ছেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকে সে লক্ষ করে। ছেলেটির নাম সুমন।
সুমন প্রায় ১ বছর ধরে ভালবাসে সুমিকে, কিন্তু বলতে পারে না। 
কারণ সুমি খুব ধনী পরিবারের মেয়ে। আর সুমন গরিবের ছেলে।
আজ ১৪ ফ্রেব্রয়ারি। 
সুমন সাহস করে বললো,
"আমি তোমাকে ভালবাসি সুমি। যদিও আমি জানি তুমি আমায় ভালবাসতে পারবেন না।" কথাগুলো বলে সুমন চলে গেল।
এইভাবে একটা বছর চলে গেল। 
এখন দশম শ্রেণীতে সুমি। সে লক্ষ করে আজও সুমন তার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করে। 
সুমি আস্তে আস্তে সুমনের প্রেমে পড়ে যায়।
তাই একদিন সুমি বলেও দিলো তার মনের কথা।
দুজনের প্রেম চলতে লাগল ১ বছর। 
এই ১ বছরের মাঝে দু'জন কখনো একাকি দেখা করেনি, কেউ কারো হাত ধরে রাস্তাতেও চলেনি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সুমির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু সুমি বিয়েতে রাজি না। কারণ সুমি সুমনকে ছাড়া আর কেউকে নিজের স্বামি হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে না। 
সুমি ফোন করল সুমনকে...
-হ্যালো সুমন।
-হ্যা বলো।
-তুমি আজ রাতে আমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারবে?
-কেন? হঠাৎ করে কি হল?
-আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই বলে সুমি কান্না করে ফেলল।
-কান্না করোনা সুমি, আমি তোমাকে নিয়ে যাব।
ওরা ঠিক তাই করলো। সকালে দুজন বিয়ে করে সুমনদের বাড়ি চলে আসলো। 
সুমনের পরিবার থেকে কোন সমস্যা নেই কিন্তু এদিকে সুমির পরিবার সব জেনে গিয়ে সুমনের নামে ও তার পরিবারের নামে পুলিশে কমপ্লেন করলো।
তবে সুমির বক্ত্যব্যের কারণে কোন কিছু হলো না সুমন ও তার পরিবারের। 
সুমির বাবা সুমিকে উদ্দেশ্যে করে বলল, "আজ থেকে আমার কোনো মেয়ে নেই।"
সুমির নামে ব্যাংকে বেশ কিছু টাকা ও জমি ছিল, তা সব তার বাবার নামে করে দিল।
সুমন সুমিকে বলল যে, সুমির বাবার টাকার প্রতি তার কোন লোভ নেই। 

ভালো যাচ্ছিলো তাদের জীবন।
সংসার ৭ মাস। সুমি গর্ভবতী, তার পেটে ৩ মাসের বাচ্চা। 
একদিন সুমির কাকা এসে বলল, "সুমন, সুমির মা খুব অসুস্থ সুমিকে দেখতে চাইছে, আমি দু'দিন পর ওকে দিয়ে যাব।"
সুমি বলল, "আমি সুমন কে ছাড়া যাব না।"
সুমন বলল, "যাও না, দুদিন পরই তো চলে আসবে।"
অনেক বোঝানোর পর রাজি হয় সুমি। 
সুমি অনেকক্ষণ ধরে সুমনকে জরিয়ে ধরে। 
সুমন সুমির কপালে চুমু দিয়ে বলে, "পাগলী বউ আমার।"
তারপর সুমির বাপের বাড়ি এসে যা হলো তা কল্পনা করা যায় না!
সুমির বাবা সুমিকে জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করে তার বাচ্চা নষ্ট করে দেয়।
তাকে দিয়ে জোর করে ডিভোর্স পেপারে সাইন করানো হয়।
ডাক্তার তার মা-বাবাকে বলে যে তাকে রেস্টে রাখতে।
আজ দুদিন সুমি কারো সাথে কথা বলে না, শুধু একা একা কাঁদে। 
সুমির দাদা - বাবা কেউ বাড়ি নেই। সুমির মা একটু পাশের বাড়ি গেছে। 
সুমি বাড়িতে একা নিজের ঘরের দরজা দিয়ে হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখলো, "এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে একজন আছে সে আমার সুমন। মা তুমি একটা মেয়ে হয়ে আমার স্বামীর ঘর ছাড়া করলে! তুমি এক মা হয়ে আমাকে মা হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারলে?"
এতটুকু লিখেই সুমি আত্মহত্যা করে।